বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নজীরবিহীনভাবে বল পূর্বক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে অমানবিকভাবে টেনে হেঁচড়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দেয়ার এক পর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনের সংসারের সব মালামাল রেখে স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে এক কাপড়ে তাকে বের হয়ে আসতে হয়েছে।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, লজ্জাজনক প্রক্রিয়ায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় তিনি অপমানবোধ করছেন।
অনেক অসত্য কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া আরো বলেন, তারা বলেছে আমি স্বেচ্ছায় আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি অথচ এটা মিথ্যা বানোয়াট, তারা আমাকে টানতে টানতে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার পরিবারের সদস্যদের গায়ে হাত তুলতেও তারা দ্বিধা করেনি।
বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি এই বাড়িটিতে আমার স্বামীর নানা স্মৃতি নিয়ে বসবাস করে আসছি। বর্তমান সরকার অহেতুক বেআইনিভাবে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয়। যা বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তারপর সরকার আমার সাথে যে ধরণের অমানবিক আচরণে করেছে তার বিচার আমি দেশের জনগণ ও আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামছুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ড. মইন খান, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের পরপরই বেগম খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করেছেন। সেখান থেকে তিনি গুলশান-২ নম্বরে তার ভাই শামীম ইস্কান্দরের বাসায় উঠেছেন বলে জানা গেছে।